Monday, February 27, 2017

গুমাতে যাবার আগে পান করুন এবং জড়িয়ে ফেলুন অতিরিক্ত চর্বি

আজ আমি আপনাদের নিবেদন করব একটি অবিশ্বাস্য রেসিপি যা হচ্ছে উপকারী মানুষ-এর জন্য যে তাদের পেট চর্বি দূর করতে পছন্দ করে ।

নিম্নলিখিত পানীয় শরীরের চর্বি বার্ন, বিশেষ করে পেটের এলাকায় খুব কার্যকর ।
প্রস্তুতি হচ্ছে বেশ সহজ আর সরল, এটা আপনি ফ্যাটি স্তর পুড়িয়ে দিতে এবং সময় অল্প সময়ের মধ্যে ভালো ফলাফল অর্জন করার অনুমতি দেবে. আপনি শুধু, যে প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এটি এক গ্লাস পান করতে হবে ।
পেট এর চর্বি পোড়ানো খুবই কঠিন, কিন্তু এখনো আশা আছে | আপনি এই পানীয়-এর সাথে কাঙ্ক্ষিত ফল অর্জন করবেন কারন এটা হচ্ছে বিশেষত কার্যকর অতিরিক্ত পেটের চর্বি পুড়াছ্ছে।
আমাদের বিপাক হচ্ছে বেশী ধীর যখন আমরা ঘুমাছ্ছি । এই অবিশ্বাস্য পানীয় ক্যালরি পুড়াতে আর বিপাক বাড়াতে যদিও আমরা ঘুমাই এই ব্যবহার করে ।
এই পানীয় উপাদান যা হচ্ছে খুব উপকারী ওজন হানি প্রক্রিয়ার জন্য ধারণ করে। আপনার পরবর্তী দরকার হবে:
এই ফল হচ্ছে নিখুঁত বিষ-এর এলিমিনেশন-এর যা আপনার জীবে বানানো হয়েছে । এই কারণে , বিপাক ত্বরান্বিত করে যেহেতু চর্বি আছে পোড়ানো হছ্ছে যা আপনার জীবে আবর্জনার আরও কার্যকর পরিস্কারকরন-এর সাথে ফল হয় ।
আদা বেষ্টনী অতিভোজন ঠেকাতে আর পেট চর্বি বেশী জলদি আর বেশী ভালো পুড়াতে সহযোগিতা করে। আদা কোষ্ঠকাঠিন্য ঠেকায়, বিপাক ত্বরান্বিত করে আর অতিরিক্ত চর্বি পুড়ায়।
তারা হচ্ছেন ওজন হানি-এর প্রক্রিয়ায় সবচেয়ে বেশী কার্যকর উপাদান-এর একটা। এই শাকসব্জি-এর হচ্ছে ধনী আঁশ আর পানি অভ্যন্তরস্থ বস্তুতে, আর অন্য খাবার-এর থেকে বেশী ক্ষুদ্র ক্যালরি আছে। শশার একমাত্র 45 ক্যালরি আছে।
aloe vera জ্যুস ন্যাচারাল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা জীব থেকে উপকারি মুক্ত রেডিক্যাল-এর এলিমিনেশনে আর উস্কানীমূলক প্রক্রিয়া হ্রাস পাছ্ছে ধারণ করে। যোগে, এটা বিপাকীয় রেট যা শক্তি মাত্রা বাড়ায় উন্নতি করে। এটা আপনার শরীর শরীর গণ ইনডেক্স ( বি এম আই ) স্বাভাবিক করতে অনুমতি দেয়।
parsley আর cilantro ভিটামিন, খনিজ পদার্থ আর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট-এর সাথে লোড করা হয় আর ক্যালরি-এর খুব নীচু অভ্যন্তরস্থ বস্তু আছে। তারা পানি আটকানো যা বড় করা ঠেকায় নিষ্ক্রিয় করেন।

প্রণালী

উপকরণ:

১ লেবু
১ টেবিলচামচ টাটকা আদা
১ টেবিলচামচ aloe vera জ্যুস
১ শশা
পার্সলে সুগন্ধি শাক বা cilantro-এর
পানি অর্ধেক গ্লাস

Friday, October 28, 2016

জেনে নিন জিরা খেয়ে ঝরিয়ে ফেলুন মেদচর্বি



আমাদের রান্নায় জিরার ব্যবহার নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। শুধুই যে রান্নায় সুগন্ধের জন্য জিরা ব্যবহার হয়, তা কিন্তু নয়। স্বাস্থ্যের কথা ভেবেও আমরা রান্নায় জিরা দিই। স্পাইসি এই মশালা যে আপনার শরীর থেকে বাড়তি মেদ ঝরাবে, সে খোঁজ কি রাখেন? হাতের কাছে ক্যালেন্ডার নিয়ে শুধু কয়েকদিন গোল্লা পাকান। আর দেখুন কী হয়।

ধৈর্য ধরে ১৫টি দিন দেখুন। এর মধ্যে রোজ নিয়ম করে এক চামচ গোটা জিরা খেয়ে ফেলুন। একদিনও বাদ দেবেন না। তার আগে আর একটি কাজ আপনাকে করতে হবে। নিজের ওজন নিয়ে, লিখে রাখুন। ১৫দিন পর ফের ওজন নিন। নিজেই অবাক হয়ে যাবেন। কলা দিয়ে জিরা খেলেও ওজন ঝরবে। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, গোটা জিরা খুব দ্রুত শরীর থেকে ওজন ঝরাতে সক্ষম।

শুধু যে চর্বি বের করে দেয়, তা কিন্তু নয়। একই সঙ্গে অস্বাস্থ্যকর কোলেস্টেরলকে শরীর থেকে বের করে দেয়। ফলে, যারা ওজন কমানোর জন্য জিমে গিয়ে ঘাম ঝরাচ্ছেন, একবার ১৫ দিনের জন্য জিরার ওপর ভরসা রাখতে পারেন। নিরাশ হবেন না। গবেষকরা বলছেন, জিরার মধ্যে রয়েছে থাইমল ও অন্যান্য কিছু তেলের উপস্থিতি। যার কাজ হলো লালা নিঃসরণকারী গ্রন্থিকে উত্তেজিত করা। যার ফলে খাবার ভালো হজম হয়।

এ ছাড়াও জিরার গুণে পরিপাকতন্ত্র ভালো কাজ করে। গবেষকরা জানাচ্ছেন, হজমের গণ্ডগোল হলে, জিরা দিয়ে চা খেয়ে দেখতে পারেন। উপকার পাবেন। এক গেলাস পানিতে এক চামচ জিরা দিন। ভালো করে ফুটিয়ে নিন। পানির রং লালচে হয়ে এলে, গ্যাস বন্ধ করে, পাত্রটি চাপা দিয়ে রাখুন। একদম ঠাণ্ডা হওয়া অবধি অপেক্ষা করুন। এই জিরা চা দিনে তিন বার খেলে, হজমশক্তি বাড়বে। পেটে ব্যথা কমবে। কী ভাবে জিরা খাবেন?

এক. একটা গেলাসে বড় চামচের দু-চামচ গোটা জিরা সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। সকালে সেই পানি গরম করে, জিরা না ছেঁকে চায়ের মতো খান। মুখে গোট জিরা পড়লে, ফেলবেন না। চায়ের মতো কয়েক দিন পান করুন, দেখবেন ওজন কমছে।

দুই. যদি দেখেন, উপরের দাওয়াই আপনার ক্ষেত্রে খুব ভালো কাজ করছে না, তা হলে দ্বিতীয় উপায়ের আশ্রয় নিন। খাবারে জিরার পরিমাণ বাড়িয়ে দিন। দইয়ের সঙ্গেও জিরা খেতে পারেন। ৫ গ্রাম দুইতে এক চামচ জিরা গুঁড়ো মিশিয়ে নিয়মিত খান। ওজন নিশ্চিত ভাবেই কমবে। তিন. কয়েক চামচ মধু ও তিন গ্রাম জিরা গুঁড়ো এক গেলাস পানিতে ভালো করে মিশিয়ে নিন। নিয়মিত এই মিশ্রণটি খান। স্যুপ তৈরি করে, এক চামচ জিরাগুঁড়ো মিশিয়ে খেলেও ভালো কাজ দেবে।

চার. পাতিলেবু ও রসুন ওজন ঝরাতে খুব ভালো দাওয়াই। গাজর ও অন্যান্য সবজি সেদ্ধ করে নিয়ে, রসুন কুচি ও লেবুর রস ঢেলে দিন। তাতে কিছুটা জিরার গুঁড়ো মেশান। রোজ রাতে খেয়ে, ম্যাজিক পরিবর্তন দেখুন। ১৫ দিনে পরেই বুঝতে পারবেন আপনার ওজন কমেছে।

রাতের বাজিমাত করে দিবে কালোজিরা মিশ্রিত দই



এই দু’টি ভাল করে মিশিয়ে নিয়ে রাত্রে শোওয়ার আগে খেয়ে নিন। ব্যস, এই মিশ্রণ যা করার তা করা শুরু করে দেবে রাতভোর !

বহু কিছু করেছেন, কিন্তু কিছুতেই কমছে না ওজন ৷ ছুটেছেন জিমে, যা যা বলেছে, তাই করেছেন ৷ তবুও যেই কি সেই ৷ কিন্তু জানেন কী? সামান্য একটা জিনিস নিয়মিত খেলেই এক মাসে ১৫ কেজি মতো ওজন কমাতে পারবেন! বিশ্বাস হচ্ছে না?

মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয় এমনই এক যুগান্তকারী টোটকা নিয়ে এসেছেন নানা পরীক্ষা-নীরিক্ষা করার পর, যেটা খেলেই এক মাসে ১৫ কেজি মতো ওজন কমবেই কমবে ৷

এই টোটকা একেবারেই ঘরোয়া ৷ বেশি খাটতেই হবে না ৷ রান্নাঘরে থাকা জিনিস দিয়েই চটজলদি কাজ সারা যাবে৷ একটি পাত্রে এক চা চামচ কালো জিরা গুঁড়ো আর এক গ্লাস পাতলা টক দই নিন৷
এই দু’টি ভাল করে মিশিয়ে নিয়ে রাত্রে শোওয়ার আগে খেয়ে নিন। ব্যস, এই মিশ্রণ যা করার তা করা শুরু করে দেবে রাতভোর !

বিজ্ঞানীরা জানিয়েছে, এই মিশ্রণ শরীরের মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে। যার ফলে কমে যায় মেদের পরিমাণ এবং দ্রুত হ্রাস পায় শরীরের ওজন।

মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের প্রকাশ করা সমীক্ষা-রিপোর্ট অনুযায়ী, ৪৪ জন মেদযুক্ত মানুষের উপর এই মিশ্রণের প্রভাব পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, প্রতিদিন যদি দই-জিরার এই মিশ্রণ খাওয়া যায় তাহলে এক মাসে অন্তত ১৫ কেজি ওজন কমানো সম্ভব। তাই আর দেরি নয় ৷ আজ রাত থেকেই শুরু করে দিন !

Wednesday, February 3, 2016

গলায় বিঁধেছে মাছের কাঁটা? জেনে নিন কাঁটা নামানোর ৭টি কৌশল

গলায় মাছের কাঁটা আটকে গেলে কী করেন? প্রথমেই খাওয়া হয় পানি, তারপর ভাতকে মুঠো করে খেয়ে ফেলা হয়। কিন্তু এতেও যদি কাঁটা না নামে, তাহলে কী করবেন? জেনে নিন ৭টি ভিন্নরকম কৌশল।



১/ গলায় কাঁটা বিধলে পানি পান করেন? কেবল পানি পান করলে হবে না। হালকা গরম পানির সাথে অল্প লবণ গুলিয়ে পান করুন। কাঁটা নরম হয়ে নেমে যাবে।

২/ গলায় কাঁটা বিঁধলে ভাত খেয়ে নামাতে চান? তাহলে এক কাজ করুন, ভাতকে ছোট ছোট বল বানিয়ে নিন। তারপর পানি দিয়ে গিলে ফেলুন। ভাতের গোলা চিবিয়ে খেলে কিন্তু কাঁটা নামবে না। পানি দিয়ে গিলে ফেলাই সেরা উপায়।

৩/ ভাত খাবার চাইতেও সহজ একটি উপায় আছে। গলায় কাঁটা বিঁধলে খেয়ে ফেলুন একটি কলা। কলা খেতে খেতে দেখবেন কাঁটা নেমে গেছে আর আপনি টেরও পাননি।

৪/ এক টুকরো লেবু নিন, তাতে একটু লবণ মাখিয়ে চুষে চুষে লেবুর রস খেয়ে ফেলুন। কাঁটা নরম হয়ে নেমে যাবে।

৫/ পানির সাথে সামান্য ভিনেগার মিশিয়ে পান করলেও ঠিক লেবুর মতই কাজ হবে।

৬/ গলায় বিঁধেছে কাঁটা? একটু অলিভ অয়েলও পান করতে পারেন। কাঁটা পিছলে নেমে যাবে।

৭/ গলায় কাঁটা নামানোর আধুনিকতম পদ্ধতি হচ্ছে কোকাকোলা। এক গ্লাস কোক পান করে ফেলুন, কাঁটা নরম হয়ে নেমে যাবে।

Sunday, January 31, 2016

ধনে পাতা থেকে সাবধান!

নিত্যদিনের বিভিন্ন খাবারে ধনেপাতা ব্যবহার করে থাকেন খাবারের গন্ধ এবং স্বাদে একটা পরিবর্তন আনার জন্য। ধনেপাতার বৈজ্ঞানিক নাম হল কোরিয়ানড্রাম স্যাটিভাম। কিন্তু কখনও কি কল্পনা করেছেন যে এই সুস্বাদু খাবারটির কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকতে পারে? অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি কথা হল, এই সুপরিচিত সবুজ সবজিটির অনেক ঔষধি গুণাগুণের পাশাপাশি অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও বিদ্যমান।
যা নিয়মিত খেলে আমাদের শরীর দিনদিন অসুস্থ হয়ে যেতে পারে।


লিভারের ক্ষতিসাধন

অতিরিক্ত ধনেপাতা খেলে এটি লিভারের কার্যক্ষমতাকে খারাপভাবে প্রভাবিত করে থাকে। এতে থাকা এক ধরনের উদ্ভিজ তেল শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে আক্রান্ত করে ফেলে। এছাড়া এটাতে এক ধরনের শক্তিশালী অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে যেটা সাধারণত লিভারের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে কিন্তু দেহের মাঝে এর অতিরিক্ত মাত্রার উপস্থিতি লিভারের ক্ষতিসাধন করে।

নিম্ন রক্তচাপ

অতিরিক্ত ধনেপাতা খাওয়ার ফলে দেহের হৃৎপিন্ডের স্বাস্থ্য নষ্ট করে ফেলে, যার ফলে নিম্ন রক্তচাপ সৃষ্টি করে। বিশেষজ্ঞরা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে এই ধনেপাতা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তাই এটি অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে নিম্ন রক্তচাপের উদ্ভব ঘটতে পারে। এছাড়া এটি হালকা মাথাব্যথারও উদ্রেক করতে পারে।

পেট খারাপ

স্বাভাবিকভাবে ধনেপাতা গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনাল বিষয়ক সমস্যা দূর করে থাকে কিন্তু বেশি পরিমাণে ধনেপাতা সেবন পাকস্থলীতে হজমক্রিয়ায় সমস্যা তৈরি করে থাকে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে এক সপ্তাহে ২০০ এমএল ধনেপাতা আহারে গ্যাসের ব্যথা ওঠা, পেটে ব্যথা, পেট ফুলে ওঠা, বমি হওয়া হওয়ারও সম্ভাবনা দেখা যায়।

ডায়রিয়া

ধনেপাতা অল্প খেলে পেটের সমস্যা দূর হয় কিন্তু এটি বেশি পরিমাণে খেলে ডায়রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। এছাড়া এর ফলে ডিহাইড্রেশন হতে থাকে। ফলে ডায়রিয়ার সমস্যাটি হতেই থাকে। তাই এই ধরনের সমস্যা এড়াতে প্রতিদিনের খাবারে ধনেপাতা কম পরিমাণে ব্যবহার করুন।

নিঃশ্বাসের সমস্যা

আপনি যদি শ্বাসকষ্টের রোগী হয়ে থাকেন তাহলে এই ধনেপাতা আহার থেকে বিরত থাকুন। কেননা এটি আপনার শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যা করে থাকে যার ফলে ফুসফুসে অ্যাজমার সমস্যা হতে পারে। এই ধনেপাতা খেলে মাঝে মাঝে ছোট ছোট নিশ্বাস নিতেও সমস্যা তৈরি হয়।

বুকে ব্যথা

অতিরিক্ত ধনেপাতা আহারে বুকে ব্যথার মত জটিল সমস্যাও দেখা দিতে পারে। এটা শুধুমাত্র অস্বস্তিকর ব্যথাই সৃষ্টি করে না তা দীর্ঘস্থায়ীও হয়ে থাকে। এজন্য এই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে দৈনন্দিন আহারে কম করে এই ধনেপাতা খেতে পারেন।

ত্বকের সংবেদনশীলতা

সবুজ ধনেপাতাতে মোটামুটিভাবে কিছু ঔষধি অ্যাসিডিক উপাদান থাকে যেটি ত্বককে সূর্যরশ্মি থেকে বাঁচিয়ে সংবেদনশীল করে থাকে। কিন্তু অতিরিক্ত সেবনে সূর্যের রশ্মি একেবারেই ত্বকের ভেতরে প্রবেশ করতে পারে না ফলে ত্বক ভিটামিন কে থেকে বঞ্চিত হয়। এছাড়া ধনেপাতা ত্বকের ক্যান্সার প্রবণতাও তৈরি করে থাকে।

অ্যালার্জীর সমস্যা

ধনেপাতার প্রোটিন উপাদানটি শরীরে আইজিই নামক অ্যান্টিবডি তৈরি করে যা শরীরের বিভিন্ন রাসায়নিক উপাদানকে সমানভাবে বহন করে থাকে। কিন্তু এর অতিরিক্ত মাত্রা উপাদানগুলোর ভারসাম্য নষ্ট করে ফেলে। ফলে অ্যালার্জীর তৈরি হয়। এই অ্যালার্জীর ফলে দেহে চুলকানি, ফুলে যাওয়া, জ্বালাপোড়া করা, র্যা শ ওঠা এই ধরনের নানা সমস্যা হয়ে থাকে।

প্রদাহ

অতিরিক্ত ধনেপাতা সেবনের আরেকটি বিশেষ পার্শ্ব প্রতক্রিয়া হল মুখে প্রদাহ হওয়া। এই ঔষধিটির বিভিন্ন এসিডিক উপাদান যেটি আমাদের ত্বককে সংবেদনশীল করে থাকে পাশাপাশি এটি মুখে প্রদাহেরও সৃষ্টি করে। বিশেষ করে এর ফলে ঠোঁট, মাড়ি এবং গলা ব্যথা হয়ে থাকে। এর ফলে সারা মুখ লাল হয়েও যায়।

ভ্রূণের ক্ষতি

গর্ভকালীন সময়ে অতিরিক্ত ধনেপাতা খাওয়া ভ্রূণের বা বাচ্চার শরীরের জন্য বেশ ক্ষতিকারক। ধনেপাতাতে থাকা কিছু উপাদান মহিলাদের প্রজনন গ্রন্থির কার্যক্ষমতাকে নষ্ট করে ফেলে যার ফলে মহিলাদের বাচ্চা ধারণ ক্ষমতা লোপ পায় এবং বাচ্চা ধারণ করলেও গর্ভকালীন ভ্রূণের মারাত্মক ক্ষতি করে থাকে

Thursday, January 28, 2016

লেবুর সরবত ও এর উপকারিতা

লেবুর সরবতের কথা আমরা সবাই জানি কিন্তু এর উপকারিতা সম্পর্কে কি জানি? সকাল সকাল হালকা গরম পানিতে লেবুর সরবত দিয়ে দিনটি শুরু করলে সেটি হয়ে উঠে অনেক স্বাস্থ্যকর।এছাড়াও রয়েছে হাজারো অজানা গুন। আসুন জেনে নেয়া যাক উপকারি এই সরবত টির কথা-



১. এই সরবতটি শুধুমাত্র Human gastrointestinal tract কেই উদ্দিপ্ত করে না, এই সরবত যকৃত পরিষ্কার রাখে এবং এর কার্যক্ষমতা বাড়ায়। তাছাড়া এটি পাচক ও হজম সহায়ক এসিড তৈরি করে খাবার হজম ও বর্জনে সাহায্য করে।

২. সাইট্রাস বা টক জাতীয় ফল যেমন লেবুতে অনেক বেশি পরিমাণ ভিটামিন সি এবং এস্করবিক এসিড থাকে। ভিটামিন সি ঠাণ্ডা জ্বর থেকে রক্ষা করে দেহকে এবং এস্করবিক এসিড আয়রন শোষণে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে যা দেহের রোগ প্রতিরোধের অংশ।

৩. আপনার শরীরে্র যদি পিএইচ এর মাত্রা যদি ঠিক না থাকে তবে অনেক রকম অসুখ হতে পারে। যদিও লেবু এসিডিক তথাপি এটি দেহের মধ্যে ক্ষারীয় ভাব আনে এবং শরীর এর পি.এইচ এর মাত্রা ঠিক রাখে।

৪. অনেকেই নিজের সকালের কফি বা চা ছাড়তে দ্বিধা বোধ করেন, কিন্তু অনেকেই খুব সহজে কয়েকদিন লেবু পানি পান করে এই মারাত্মক অভ্যাসটা ছেড়ে দিতে পারেন। লেবু এবং পানির এই মিশ্রণটা পরিশুদ্ধ ও অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত তৈরি করে। যার ফলে সারাটি দিন অনেক ফুরফুরে এবং সতেজ লাগে।

৫. যাদের মধ্যে পানি শুন্যতার সমস্যা রয়েছে তাদের দেহের চামড়া অনেক রুক্ষ হয়ে থাকে এবং ফাটা ফাটা দেখা যায়। তারা তাদের দিনের শুরুটা করুন ১ গ্লাস হালকা গরম পানি, মধু এবং লেবুর সরবত দিয়ে, ভিটামিন সি চামড়া সুন্দর ও মসৃণ রাখতে সাহায্য করে এবং এন্টিওক্সিডেন্ট বুড়িয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করবে আপনাকে।

৬. যাদের বাতের/ হাঁটুতে ব্যথা আছে বা প্রদাহ/ফুলে যায় তাদের জন্য এই সরবত উপকারী। কারণ লেবু পানি ইউরিক এসিড কমিয়ে বা দূর করে দেয় ফলে ব্যথা কম হয়ে যায়।

৭. লেবু পানিতে বেশ পরিমাণ পেক্টিন জাতীয় আঁশ আছে যা কলোন এর জন্য ভালো এবং এটি অনুজীব প্রতিহত করে।

৮. লেবু পানি সাথে সাথেই শক্তি সঞ্চয় করতে পারে। কখনো শরীর দুর্বল মনে হলে বা মাথা ঘুরালে সে সময় ১ গ্লাস লেবু সরবত মেডিসিনের মত কাজ করে এবং দেহে চনমনে ভাব চলে আসবে, কারণ এতে রয়েছে পটাশিয়াম যা মস্তিষ্কের নার্ভকে উদ্দিপ্ত করে।

৯. মাইগ্রেনের সমস্যায় এটি অনেক উপকারী। মাইগ্রেনের ব্যথার সময় লেবুর সরবত খেলে লেবু ও চিনি ব্রেইনের নার্ভকে আরাম দেয় এবং ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।

১০. সকালে খালি পেটে ১ গ্লাস হালকা গরম লেবু পানি ওজন কমাতে সাহয্য করে।

১১. লেবু পানি একটি প্রাকৃতিক মূত্রবর্ধক। অর্থাৎ এটি আপনার শরীরকে পরিষ্কার করে এবং সেই সাথে বিষক্রিয়া জাতীয় পদার্থ শরীর থেকে বের করে দেয়। সাইট্রিক এসিড গুলো লিভারের জন্য প্রয়োজনীয় এনজাইম গুলো বৃদ্ধি করতে সহায়ক ভুমিকা পালন করে।

তাই দেরি না করে আজই শুরু কসুরু এই ভাল অভ্যাসটি ।

তরমুজের পুষ্টিগুণ

এখন তরমুজের মওসুম। বাজারে প্রচুর তরমুজ পাওয়া যাচ্ছে। তরমুজের মনকাড়া রঙ আর রসালো মিষ্টি স্বাদের জন্য ছোট-বড় সবাই তরমুজ খেতে ভালোবাসে। বিশেষ করে গরম যত বাড়ে তরমুজের চাহিদাও তত বাড়তে থাকে।



তরমুজে আছে অনেক পুষ্টিগুণ। প্রতি ১০০ গ্রাম পাকা তরমুজে রয়েছে ৯২ থেকে ৯৫ গ্রাম পানি, আঁশ ০.২ গ্রাম, আমিষ ০.৫ গ্রাম, চর্বি ০.২ গ্রাম, ক্যালোরি ১৫ থেকে ১৬ মিলিগ্রাম। এ ছাড়াও তরমুজে ক্যালসিয়াম রয়েছে ১০ মিলিগ্রাম,আয়রন ৭.৯ মিলিগ্রাম, কার্বহাইড্রেট ৩.৫ গ্রাম, খনিজ পদার্থ ০.২ গ্রাম, ফসফরাস ১২ মিলিগ্রাম, নিয়াসিন ০.২ মিলিগ্রাম, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি ও ভিটামিন বি২।

প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে : তরমুজে আছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ তরমুজ খেলে অক্সিডেটিভ স্ট্রেসজনিত অসুস্থতা কমে যায়। এ ছাড়াও নিয়মিত তরমুজ খেলে প্রোস্টেট ক্যান্সার, কোলন ক্যান্সার, ফুসফুসের ক্যান্সার ও স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে যায়।

পানিশূন্যতা দূর করে : তরমুজে প্রচুর পরিমাণে পানি আছে। গরমের সময় যখন ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে পানি বের হয়ে যায় তখন তরমুজ খেলে শরীরের পানিশূন্যতা দূর হয়। ফলে শরীর থাকে সুস্থ ও সতেজ।

চোখ ভালো রাখে : তরমুজে আছে ক্যারোটিনয়েড। আর তাই নিয়মিত তরমুজ খেলে চোখ ভালো থাকে এবং চোখের নানা সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ক্যারটিনয়েড রাতকানা প্রতিরোধেও কার্যকরী ভূমিকা রাখে।

ওজন কমাতে সহায়তা করে : তরমুজে আছে প্রচুর পরিমাণে পানি এবং খুব কম পরিমাণে ক্যালরি। আর তাই তরমুজ খেলে পেট ভরে যায় কিন্তু সে অনুযায়ী তেমন কোনো ক্যালরি শরীরে প্রবেশ করে না। ফলে তরমুজ খেয়ে পেট পুরে ফেললে ওজন বাড়ার সম্ভাবনা কম থাকে।

দুর্বলতা দূর করে : টেক্সাস এ অ্যান্ড এম ইউনিভার্সিটির গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, যারা দুর্বল তাদের জন্য তরমুজ প্রাকৃতিক ওষুধ হিসেবে কাজ করে। একটি তরমুজে প্রচুর পরিমাণে সিট্রোলিন নামের অ্যামাইনো এসিড থাকে যা শরীরকে প্রতিমুহূর্তে সতেজ রাখতে সহায়তা করে।